মাথায় এলোমেলো চুল। চোখে চশমা, পরনে টিশার্ট। এক হাতে লাঠি, অন্যহাতে রিভলবার নিয়ে দাড়িয়ে আছেন এক যুবক। এমনই এক ছবি ভেসে বেড়াচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। কিন্তু তিনি কে? অস্ত্র হাতে কে এই যুবক? এমন প্রশ্ন ঘোরপাক খাচ্ছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, রিভলবার হাতে থাকা যুবকের নাম জুনেদ আলী। তার বাড়ি সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার রানীগঞ্জের ঘোষগাও গ্রামে। সে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র৷ তিনি সিলেটে সামনের সারি থেকে চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন।
সম্প্রতি রিভলবার হাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবিটি প্রকাশের পর শুরু হয়েছে আলোচনা-সমালোচনা। প্রশ্ন উঠেছে একজন শিক্ষার্থীর হাতে রিভলবার আসলো কিভাবে? অনেকেই মন্তব্য করছেন, শিবিরের রাজনীতির সাথে জড়িত এই যুবক আন্দোলনে অস্ত্র সরবরাহ করছেন। আন্দোলনকারীদের অস্ত্রের যোগানদাতা হিসেবে কাজ করছেন তিনি।
অনেকেই আবার ওই যুবকের পক্ষে কমেন্ট করে বলছেন ছবিটি একটি হলের ভেতরে তল্লাশির সময় তুলা। তবে হল এনিয়ে সমালোচকরা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে হল তল্লাশির অধিকার তাদেরকে কে দিয়েছে। হল তল্লাশির নামে তাদের অস্ত্রগুলো যে ওই হলে রাখেননি সেই প্রশ্ন থেকেই যায়। অনেকে দাবি করছেন, সাধারণ ছাত্র-ছাত্রী হলে অনুপস্থিত থাকায় এ সুযোগ কাজে লাগিয়েছে শিবির-ছাত্রদলের কর্মীরা। আন্দোলনকারীদের সাথে মিশে নিজস্ব ফায়দা হাসিল করতে চায় তারা। অস্ত্রশস্ত্র আগে থেকেই হলের মধ্যে রেখে তল্লাশি অভিযান করেছে শিবির-ছাত্রদল।
সুশীল সমাজের লোকজন বলছেন, আন্দোলনকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তিরা মাথা নাড়া দিয়ে উঠছে। দাবি আদায়ের আড়ালে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে তারা শিক্ষার্থীদের হাতে অস্ত্র তুলে দিচ্ছে। দেশের সামগ্রিক উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে সংঘাত সৃষ্টি করা হচ্ছে। সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের আন্দোলন এখন সরকার বিরোধী আন্দোলনে রূপ নিয়েছে। সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের আড়ালে রাষ্ট্রের বিভিন্ন স্থাপনায় আগুন ও ক্যাম্পাস ভাংচুর করছে সরকার ও স্বাধীনতা বিরোধী তৃতীয়পক্ষ। আন্দোলনকে ব্যবহার করে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সরকার বিরোধী তৃতীয়পক্ষের কর্মকাণ্ডে উদ্বিগ্ন অভিভাবগণ।